রবিবার । ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
মাঠে জেলা প্রশাসন

খুলনায় এখনও পোস্টার-প্যানা ও বিল বোর্ড অপসারিত হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীদের পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। সকল নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন কমিশন থেকে মাইকিংও করা হয়েছে। তবে খুলনার নগরী ও জেলার ৬ সংসদীয় আসনের অধিকাংশ প্রার্থী এখনও অপসারণ করেননি। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এসব অপসারণে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছে। জেলা প্রশাসন রবিবার বিকেল থেকে মাঠে নেমেছে। সরেজমিন যেয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।

১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রয়োদশ জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের নির্বাচনের আচরণ বিধি ব্যাখ্যা করা হয়। জারি করা হয় পরিপত্র। তাতে উল্লেখ করা হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সকল সম্ভাব্য প্রার্থীর পোস্টার, বিল বোর্ড ও প্যানা অপসারণের। শনিবার সন্ধ্যায় এ সময় পার হয়েছে। রবিবার সকালের চিত্রে বেশ ভিন্নতা দেখা যায়। নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক মসজিদের সামনে এখনও টানানো রয়েছে, পাশাপাশি খুলনা-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এড. শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের প্যানা। নিরালা মোড়ে উভয় প্রার্থীসহ হাতপাখা টানানো দেখা যায়। শান্তিধাম মোড়ে, ডাকবাংলো মোড়ে বিশাল বড় প্যানা টানানো রয়েছে ধানের শীষের প্রার্থীর। শুধু এসব এলাকা নয় নগর জুড়ে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব প্রার্থীদের বড় বড় প্যানা ও বিল বোর্ড।

নিউ মার্কেট এলাকায় বড় বড় বিল বোর্ড রয়েছে খুলনা-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুলের। সেখান থেকে রাস্তার অধিকাংশ স্থানে তার বিল বোর্ড ও প্যানা এখনও টানানো রয়েছে। এছাড়া খুলনা-৩ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম আরিফুর রহমান মিঠুর শাপলা কলির পোস্টারে ছেয়ে গেছে। তার সম্প্রতি নতুন নতুন পোস্টার লাগানো দেখা যাচ্ছে। খুলনা-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী তানভির সরদার ইমন-এর ট্রাক মার্কারও প্যানা এখনও লাগানো আছে।

এদিকে জেলার ৪ টি সংসদীয় আসনে অধিকাংশ প্রার্থীর পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড নামানো হয়নি। রায়েরমহল বাজার থেকে ডুমুরিয়া পর্যন্ত রাস্তার অধিকাংশ জায়গা ও অলি-গলিতে ছেয়ে আছে খুলনা-৫ আসনের জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি প্রার্থী আলি আজগর লবি, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি আব্দুল কাইউম জমাদ্দার, সাবেক ছাত্রনেতা শফি মোহাম্মদ খানের প্যানা ও পোস্টার। খুলনা-১, খুলনা-৩, খুলনা-৪ ও খুলনা-৬ নির্বাচনী এলাকায় অধিকাংশ জায়গায় এবং গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও একই অবস্থা।

খুলনা জেলা প্রশাসক আ স ম জামসেদ খোন্দকার বলেন, সকলকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন আমাদের কাছে ২৪ ঘণ্টা সময় বেশি চেয়েছে। নগরীতে রবিবার বিকেল থেকে অভিযান শুরু হচ্ছে। জেলার ৪টি সংসদীয় আসনেও অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি জানান।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন